অপরিচিতা গল্প 3

অপরিচিতা গল্প 3: বাড়ির সকলে তো রাগিয়া আগুন। কন্যার পিতার এত গুমর! কলি যে চারপোয়া হইয়া আসিল! সকলে বলিল, “দেখি, মেয়ের বিয়ে। দেন কেমন করিয়া।” কিন্তু মেয়ের বিয়ে হইবে না এ ভয় যার মনে নাই তার শাস্তির উপায় কী। মস্ত বাংলাদেশের মধ্যে আমিই একমাত্র পুরুষ যাহাকে কন্যার বাপ বিবাহের আসর হইতে নিজে ফিরাইয়া দিয়াছে। এত […]

অপরিচিতা গল্প 3 Read More »

অপরিচিতা গল্প 2

অপরিচিতা গল্প 2: গায়ে হলুদ অসম্ভব রকম ঘুম করিয়া গেল। বাহক এত গেল যে তাহার আদমশুমারি করিতে হইলে কেরানি রাখিতে হয়। তাহাদিগকে বাংলা-১ বিদায় করিতে অপর পক্ষকে যে নাকাল হইতে হইবে, সেই কথা স্মরণ করিয়া মামার সঙ্গে মা একযোগে বিস্তর হাসিলেন। ব্যান্ড, বাঁশি, শখের কার্ট প্রস্তুতি যেখানে যতপ্রকার উক্ত শব্দ আছে সমস্ত একসঙ্গে মিশাইয়া বর্বর

অপরিচিতা গল্প 2 Read More »

অপরিচিতা গল্প 2

অপরিচিতা গল্প 2: হরিশ আসর জমাইতে অদ্বিতীয়। তাই সর্বত্রই তাহার খাতির। মামাও তাহাকে পাইলে ছাড়িতে চান না। কথাটা তাঁর বৈঠকে উঠিল। মেয়ের চেয়ে মেয়ের বাপের খবরটাই তাঁহার কাছে গুরুতর। বাপের অবস্থা তিনি যেমনটি চান তেমনি। এক কালে ইহাদের বংশে লক্ষ্মীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল। এখন তাহা শূন্য বলিলেই হয়, অথচ তলায় সামান্য কিছু বাকি আছে। দেশে

অপরিচিতা গল্প 2 Read More »

অপরিচিতা গল্প

অপরিচিতা গল্প: আজ আমার বয়স সাতাশ মাত্র। এ জীবনটা না দৈর্ঘ্যের হিসাবে বড়, না গুণের হিসাবে। তবু ইহার একটু বিশেষ মূল্য আছে। ইয়া সেই ফুলের মতো যাহার বুকের উপরে ভ্রমর আসিয়া বসিয়াছিল এবং সেই পদক্ষেপের ইতিহাস তাহার জীবনের মাঝখানে ফলের মতো গুটি ধরিয়া উঠিয়াছে। সেই ইতিহাসটুকু আকারে ছোটো, তাহাকে ছোটো করিয়াই লিখিব। ছোটোকে যাঁহারা সামান্য

অপরিচিতা গল্প Read More »

জাগো গো ভগিনী 2

জাগো গো ভগিনী 2: অনেকে মনে করেন যে, পুরুষের উপার্জিত ধন ভোগ করে বলিয়া নারী তাহার প্রভুত্ব সহ্য করে। কথাটা অনেক পরিমাণে ঠিক। বোধ হয়, স্ত্রীজাতি প্রথমে শারীরিক শ্রমে অক্ষম হইয়া পরের উপার্জিত ধনভোগে বাধ্য হয় এবং সেই জন্য তাহাকে মস্তক নত করিতে কিন্তু এখন স্ত্রীজাতির মন পর্যন্ত দাস হওয়ায় দেখা যায়, যে স্থলে দরিদ্র

জাগো গো ভগিনী 2 Read More »

জাগো গো ভগিনী

জাগো গো ভগিনী: আমাদের শয়নকক্ষে যেমন সূর্যালোক প্রবেশ করে না, তদ্রূপ মনোকক্ষেও জ্ঞানের আলোক প্রবেশ করিতে পারে না। যেহেতু আমাদের উপযুক্ত স্কুল কলেজ এক প্রকার নাই। পুরুষ যত ইচ্ছা অধ্যয়ন করিতে পারেন, কিন্তু আমাদের নিমিত্ত জ্ঞানরূপ সুধাভাণ্ডারের দ্বার কখনও সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত হইবে কি? যদি কোনো উদারচেতা মহাত্মা দয়া করিয়া আমাদের হাত ধরিয়া তুলিতে অগ্রসর হন,

জাগো গো ভগিনী Read More »

মহাপৃথিবীর রাগমালা

মহাপৃথিবীর রাগমালা

মহাপৃথিবীর রাগমালা: প্যারিসের জনস্রোত, যানস্রোত, ইতিহাস-দীপ্ত হর্মামালা, পথঘাট, মিউজিয়ামের ঘটা, বোবস্স্পীয়ার, বোদলেয়ার ও জাঁ-পল সার্জের নানা স্মৃতি-উন্মুখর রেস্তোরাঁ, শেনের জলধারা থেকে দূরে সিমুরের সবুজের অকৃপণ স্নেহস্পর্শে প্রকৃতি আপন অন্তর্বাস অসঙ্কোচে উন্মোচন করে। লোকটা এখানে ছিল কোনওদিন, ছিল প্রকৃতির খুব কাছে, ঈষৎ আলাদা পাথরের মাঝে ছিল দিনরাত, কেটে গেছে তার জীবনের বেশ কিছু দিন ছেনি আর

মহাপৃথিবীর রাগমালা Read More »

পাশা খেলা

পাশা খেলা

পাশা খেলা: দীর্ঘকাল আগে এক পড়ন্ত বেলায় কে যেন আমাকে আচমকা ছুঁড়ে দিয়েছিল জাফরানি মেঘের ভেতর। ভেসে যাচ্ছিলাম কোন অচিন এলাকায়, তার নাম বলা অসম্ভব ছিল আমার পক্ষে। মেঘের বানে ভিজে যাচ্ছিল আমার সত্তা। তারপর কী-যে হলো, স্থৈর্যের আঁচলের আড়াল থেকে আমাকে বের করার নীরব উৎসবের উপক্রমণিকার আয়োজন। আমার ভেতর সকালসন্ধ্যা, এমনকি মধ্যরাতের স্তব্ধতার মুহূর্তেও

পাশা খেলা Read More »

নববর্ষের শুভেচ্ছা

নববর্ষের শুভেচ্ছা

নববর্ষের শুভেচ্ছা: দুনিয়াটি প্রতিদিন তাঁর কেমন নতুন লাগে, আসমান, মাটি, নদী, নক্ষত্রের দল যদিও প্রকৃত একই, একই পাখির কোরাস, তবু নতুনের ছোঁয়া থাকে প্রত্যেকের আপন সত্তায়। তিনি সকালে হাঁটার কালে সুস্নিগ্ধ হাওয়ায় দুলে-ওঠা গাছ, বাগানের নানা ফুলের যৌবন, শ্রমজীবী মানুষের পথচলা গভীর আগ্রহে দেখে নেন প্রায় প্রতিদিন, আর পাখির উড়ালে নিবিড় করেন পাঠ প্রগাঢ় গ্রামীণ

নববর্ষের শুভেচ্ছা Read More »

জানবে না কেউ

জানবে না কেউ

জানবে না কেউ: লোকটাকে, সকল সময় নয়, কখনও সখনও দেখি, বেশি দেখি দূর থেকে, কাছে কালেভদ্রে দেখা পাই তার আর, কী অবাক কাণ্ড, যখন দূরত্ব ঢের বেশি থাকে, তখন অনেক নিবিড়, গহন চেনা লাগে, নৈকট্য অচেনা করে দেয় অতিশয়। পাজামা-পাঞ্জাবি কিংবা ফতুয়া পরেন প্রায়শই; মাঝেসাঝে শার্ট আর ট্রাউজার দিব্যি শোভা পায় ক্ষয়িষ্ণু শরীরে তার। লোকে

জানবে না কেউ Read More »

Scroll to Top